আমার প্রতি বছরের চাঁদ রাত কেটে যেত পাপার হয়ে সবাই কে ঈদের শুভেচ্ছা মূলক মেসেজ লিখে পাঠাতে | পাপার ছিল button mobile phone তাই তখন কোনো সহজ উপায় ছিল না তাতে যে মেসেজ forward কিংবা copy and paste করা যাবে, সব individually লিখতে হতো এবং সেটা individually send o করতে হতো! তবুও আমি মহা আনন্দের সাথেই কাজ টা খুবই দায়িত্বএবং গুরুত্ব নিয়ে করতাম | আমার ছোট্ট কাঁধে পাপার দেয়া এই দায়িত্বে খুব গর্ব বোধ করতাম!
তার পরের দিনই অর্থাৎ ঈদের দিনই নানুর কাছে ছুটে যেতাম | আমার নানুর মত রান্না কেউ পারবে না, আমার আম্মুও না (যার রান্না এমনিতেও অতুলনীয় তবুও না), নানু খাওয়াতোও একদম ঠেসে- ঠূসে | এমন আদর যত্ন করে সত্য বলতে, আমার আম্মুও খাওয়াতে পারবে না | এত আদর পৃথিবীর আর কেউ আমাকে করতে পারবে না | আমার নানা - নানুর মত আদর আমাকে আর কেউ দিতে পারবে না | মনে পড়ে ছোট্ট বেলায় আমার দাদী আপাও আমাকে প্রচণ্ড আদরে রেখেছেন | আমি তার কাছে গেলেও আমাকে এই বৃদ্ধ হাত দিয়েও কোলে করে রাখতেন, ছাড়তেন না!
এটাই ছিল আমার কাছে ঈদের সব চাইতে অন্যতম মজা আর আনন্দ |
এখন বুঝি লিখা- লিখি কেন এত ভালো লাগে কারণ তখনও লাগত, হয়তো সেখান থেকেই এই শখের উৎপত্তি | প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকতাম কবে পাপা বলবে, "'আম্মু জান, মেসেজ দিয়ে দাও তোহ সবাইকে ঈদের'"!
এখন যখন ভাবি এত খাবার প্রেমি আমি কি করে হলাম তখন মনে পড়ে, আমার নানুর মত করে কেউ কাউকে খাবার খাওয়ালে কে না ভোজন - রসিক হবে?!
কিন্তু আজ এত বছরেও ঈদ আর কোনোদিনই ঈদ লাগেনি, ইচ্ছাও খুব একটা করে না ঈদের কিছু করতে, সত্যি বলতে!
জীবন নিমেষেই সব আনন্দ ধুলিসাৎ করবার ক্ষমতা রাখে!
আল্লাহ যেনো ভালো রাখেন সেই সকল কবর বাসি পিতা - মাতা, নানা - নানী, দাদা - দাদী এবং আত্মীয় - স্বজনদের!
সুম্মা আল্লাহূম্মা আমীন!
Comments
Post a Comment